কাঠালিয়া সংবাদদাতা:
মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে কাঠালিয়ায় চলছে জাতীয় পতাকা বিক্রির ধুম। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাড়া, মহল্লায়, অলি-গলিতে ঘুরে পতাকা বিক্রি করছেন একশ্রেণির মৌসুমি বিক্রেতা।
কাঁঠালিয়ার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা যায়, বাড়ির ছাদ, বারান্দা, বেলকুনি, গাড়ি, রিকশা, এমনকি সাইকেলের সামনে দুলছে লাল-সবুজের পতাকা। আর ঘুরে ঘুরে পতাকা বিক্রি করছে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা।
কথা হয় মৌসুমি পতাকা বিক্রেতা মো. সোহেল (২৫) সঙ্গে। তিনি বলেন, বছরের অন্য সময় বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরায় কাজ করি। এইটা বিজয়ের মাস। এ মাসে সবাই পতাকা কেনে, ব্যবসা ভালো হয়। তাই এসময় পতাকা বিক্রি করি। এছাড়া পতাকা বিক্রির কাজটাও সহজ।
১৯৭১ সাল দেখিনি। তবে, লাল-সবুজের পতাকা দেখলে হৃদয়ে এক ধরনের আবেগ তৈরি হয়। এ পতাকার জন্য বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছেন। এ পতাকা আমাদের অস্তিত্ব।
এ পতাকার জন্য আমরা স্বাধীনভাবে চলাচল করছি। বিজয়ের এই উল্লাসে লাল-সবুজ শুধুমাত্র দুইটি রঙই নয়, এ যেন অনুভূতির আরেক নাম।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর ) দুপুরে কাঁঠালিয়া বাসস্টান্ডে পতাকা কেনার সময় এসব কথা বলেন মো. হায়দার খান।
এ সময় তার পাশে থাকা সোহেল ও মেহেদী হাসান বলেন, পতাকা দেখলে মনে হয় আমরা স্বাধীন জাতি।
পতাকা আমাদের অনুভূতির জায়গা। পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন হয় দেশ। মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারীদের রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয় লাল-সবুজ রঙের জাতীয় পতাকা।
বিজয়ের মাসে বাড়ির ছাদ ও গাড়ির সামনে জাতীয় পতাকা টানিয়ে রাখেন অনেকেই। ১৬ ডিসেম্বর সব অফিস ও প্রতিষ্ঠানেও উড়ানো হয় জাতীয় পতাকা। বিজয়ের মাসে জাতীয় পতাকার চাহিদা থাকে বেশি। তাই বিজয়ের মাসকে ঘিরে প্রায় সবাই কিনছেন জাতীয় পতাকা।